প্রকাশিত হয়ে গেল সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১। আজকের এই পোস্ট টা তুলে ধরা হয়েছে সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান। আশা করছি এর মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট সমাধান তৈরি করতে পারবেন।
দীর্ঘ সময় যাবত বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায়।মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড আবারো সিদ্ধান্ত নিয়েছে সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান নেওয়ার জন্য। তাই আপনাদের সুবিধার্থে এখানে দেওয়া হয়েছে সপ্তম শ্রেণি বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট উত্তর।সর্বপ্রথম আপনাদের সিলেবাস হস্তান্তর করার পর পরবর্তী সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট সমাধান তৈরি করতে হবে। তাই দেখে নিন সপ্তম শ্রেণি বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট উত্তর।
৭ম শ্রেণি ৪র্থ সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট বিজ্ঞান
বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট সপ্তম শ্রেণি সমাধান দেওয়া হয়েছে আমাদের পোস্টে। আপনি যদি সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন। তাহলে আজকে আমাদের এই পোস্ট থেকে সপ্তম শ্রেণি বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট উত্তর জানতে পারবেন
১। তোমার বাড়ীর দেওয়ালে অথবা আশে পাশের দেওয়ালে যে সাদা ও সবুজ রং কী কারনে হয় বলে তুমি মনে কর।
২। তোমার শরীরে হালকা জ্বর ও ডাইরিয়া কী করনে হয় বলে তুমি মনে কর।
৩। স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা নিরাপদ পানি তোমার জীবনে কতটুকু গুরুত্ব বহন করে – যৌক্তিকতা নিরুপন করে ব্যাখ্যা কর।
তোমার বাড়ির দেওয়ালে অথবা আশপাশের দেওয়ালে যে সাদা ও সবুজ রঙ কি কারনে হয় বলে তুমি মনে করো?
উত্তর:
বাড়ির দেওয়ালে অথবা আশপাশের দেওয়ালে যে সাদা ও সবুজ রঙ হওয়ার কারণঃ
বাড়ির দেওয়ালে অথবা আশপাশের দেওয়ালে যে সাদা ও সবুজ রং দেখা যায়, তার কারণ হলো শৈবাল। সমাঙ্গ বর্গের প্রধানত ক্লোরোফিলযুক্ত ও স্বভোজী উদ্ভিদরাই শৈবাল। এরা আলোকিত স্থান পছন্দ করে। এরা মাটি, পানি, ঘরের দেওয়াল শরীরে হালকা জ্বর ও ডায়রিয়া ও অন্য গাছের উপর জন্মাতে পারে। এদের দেহ এককোষী বা বহুকোষী হতে পারে। এদের দেহে কোন পরিবহন কলা থাকে না। এর সবুজ, লাল, বাদামী ইত্যাদি নানা রঙের হতে পারে। অতএব, বাড়ির দেওয়ালে অথবা আশপাশের দেওয়ালে যে সাদা ও সবুজ রঙ অণুজীবের কারণে হয়ে থাকে।
অথবা
উত্তর :
সমাঙ্গ বর্গের প্রধানত ক্লোরোফিলযুক্ত ও স্বভোজী উদ্ভিদরাই শৈবাল। এরা আলোকিত স্থান পছন্দ করে। এরা মাটি, পানি, ঘরের দেওয়াল শরীরে হালকা জ্বর ও ডায়রিয়া ও অন্য গাছের উপর জন্মাতে পারে। এদের দেহ এককোষী বা বহুকোষী হতে পারে। এদের দেহে কোন পরিবহন কলা থাকে না। এর সবুজ, লাল, বাদামী ইত্যাদি নানা রঙের হতে পারে। অতএব, বাড়ির দেওয়ালে অথবা আশপাশের দেওয়ালে যে সাদা ও সবুজ রঙ অণুজীবের কারণে হয়ে থাকে।
…………দুটি নমুনা উত্তর দেওয়া হলো।
তোমার শরীরে হালকা জ্বর ও ডায়রিয়া কি কারনে হয় বলে তুমি মনে করো?
উত্তর
২. শরীরে হালকা জ্বর ও ডায়রিয়া হওয়ার কারণঃ
আমার শরীরে হালকা জ্বর ও ডায়রিয়া অণুজীবের সংক্রমনের কারণে হয়। ব্যাকটেরিয়া জীবাণু দেহাভ্যন্তরে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করতে পারে । অপরিষ্কার হাত জীবাণুর জন্য একটি সুবিধাজনক বাহন, যার মাধ্যমে সহজেই এরা মুখগহ্বরের ঢুকে যেতে পারে। আমরা যে জামা কাপড় ব্যবহার করি, তাতে লেগে ব্যাকটেরিয়ার স্পোর স্থানান্তরিত হতে পারে । বাতাসে ধুলাবালি উড়ে বেড়ায় তার সাথে অতি সহজেই ব্যাকটেরিয়া বা তার স্পোর এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারে।হাত মেলানোর মাধ্যমেও ব্যাকটেরিয়া একজন থেকে অন্যজনে অতি সহজে স্থানান্তরিত হতে পারে । পচা-বাসি খাবারের মাধ্যমে জীবাণু সহজেই ছড়ায় । ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও এন্টামিবা মানুষের শরীরের বিভিন্ন রোগ ছড়ায়।
স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ও নিরাপদ পানি তোমার জীবনে কতটুকু গুরুত্ব বহন করে?- যৌক্তিকতা নিরূপণ করে ব্যাখ্যা করো।
উত্তর
আমাদের জীবনে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ও নিরাপদ পানির গুরুত্ব:
স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ও নিরাপদ পানি আমার জীবনে অনেক গুরুত্ব বহন করে। যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগের কারণে স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা সৃষ্টি হয়। এসব মলমূত্রে যে জীবাণু থাকে তা ভক্ষণকারী অন্য জীব এগুলোকে ছড়িয়ে দেয় । এছাড়া বৃষ্টি বা জোয়ারের পানিতে এগুলো দূর দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের দেশের অনেক স্থানে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা নেই এবং এসব অঞ্চলের মানুষ মাঠ বা কাঁচা পায়খানা ব্যবহার করে । এন্টামিবায় আক্রান্ত ব্যক্তির মল মাঠের মাটিতে মিশে যায়। এ মাটিতে হাত লাগলে বা এ মাটিতে যে সবজি চাষ করা হয় তাতে এসব জীবাণু লেগে থাকে । সবজির ভিতরেও এরা প্রবেশ করে। রান্নার পরেও দেখা যায় ওই জীবাণু তখনও বেঁচে আছে । এভাবে এন্টামিবা সংক্রমিত হয় । ফলে সুস্থ মানুষও আক্রান্ত হয়ে পড়ে। খাবার-পানি নিরাপদ হওয়া খুবই জরুরী। কলেরা, টাইফয়েড ইত্যাদি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট রোগ থেকে বাঁচতে অবশ্যই নিরাপদ পানি ব্যবহার করতে হবে। পান করা, গোসল ও কাপড় কাচা, বাসন ধোওয়া ইত্যাদির জন্য নিরাপদ পানি ব্যবহার করা উচিত । আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েলের পানি নিরাপদ । পুকুর ও নদীর পানি ব্যবহারের পূর্বে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে । অন্যথায়, আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে অনেক মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে।